স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হরতালের সময় শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আরো চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে সদর মডেল থানায় এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এই চারটি নিয়ে তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় ৫৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দায়েরকৃত ৫৫টি মামলার মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৩টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি।
এদিকে, দায়েরকৃত ৫৫টি মামলায় এজাহারনামীয় ৪১৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ বুধবার রাত পর্যন্ত মামলার ২৩৭ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছেন।সর্বশেষ বুধবার রাতেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০জকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বুধবার রাতে হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় জড়িত হেফাজতের আরো ৩০ জন কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে এসব ঘটনায় মোট ২৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তান্ডবের ঘটনায় বুধবার রাতে সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত ৪টি মামলাসহ জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ৫৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিম বলেন, বুধবার রাতে সদর মডেল থানায় আরো চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে সদর মডেল থানায় ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইওয়ান) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পুলিশ আসামীদের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে। এছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, বুধবার রাতে আরো ৩০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এনিয়ে তান্ডবের ঘটনায় মোট ২৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থক। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছাত্রদল, যুবদল ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মী রয়েছে। তিনি বলেন, তান্ডবের ঘটনায় জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত টানা তিনদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। হামলাকারীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply